।। আব্দুল মালেক ।।
উলিপুর পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে ব্যাটারী চালিত অটোচালকদের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে চাঁদা ও টোল আদায়ের অভিযোগে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানবন্ধনের আয়োজন করা হয়। রবিবার সকালে বিজয় মঞ্চ চত্বরে ‘বাংলাদেশ অটোবাইক শ্রমিক কল্যান সোসাইটি’ উলিপুর শাখার ব্যানারে মানবন্ধনের আয়োজন করা হলেও, সেখানে প্রকৃত অটোচালকদের অংশগ্রহন ছিল হাতে গোনা। এ মানবন্ধনে প্রকৃত অটোচালকদের কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবী করেছেন একাধিক অটোচালক।
এদিকে,আকস্মিক এ মানবন্ধন শেষ হওয়ার সাথে সাথেই পুলিশ মানবন্ধনে অংশ নেয়ার অভিযোগে আরিফুজ্জামান, এরশাদুল হক ও রাশেদুল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে উলিপুরে ‘বাংলাদেশ অটোবাইক শ্রমিক কল্যান সোসাইটি’ নামের সংগঠনের ব্যানারে কতিপয় ব্যক্তির সমন্বয়নে গড়ে ওঠা একটি চক্র জোরপূর্বক মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা মালিকদেরকে সংগঠনের সদস্য অন্তর্ভুক্তি ও লাইসেন্স প্রদানের নামে চাঁদাবাজী করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। এছাড়াও এসব অটোচালকরা গাড়ী নিয়ে রাস্তায় নামলেই তাদেরকে সংগঠনের টোল বাবদ ১০ টাকা দিতে বাধ্য করা হত। এসংক্রান্ত খবর বিভিন্ন জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
সম্প্রতি উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের রামধন জুম্মাহাট এলাকার রাশেদুল ইসলাম নামের এক অটোচালকের কাছ থেকে জোড়পূর্বক অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করা হলে সে অপারগতা প্রকাশ করলে তার অটো রিকশা জোড়পূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পরেই লাখ লাখ টাকার চাদাবাজির ঘটনা ফাঁস হয়। এরপর পুলিশ নড়েচড়ে বসে। চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশ সুপারের নির্দেশে তথাকথিত ওই সংগঠনের সভাপতি ও উলিপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় চাদাবাজির মামলা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ২ জনকে আটক করে জেল-হাজতে প্রেরণ করে। এরই প্রতিবাদে রবিবার সকালে ওই সংগঠনের ব্যানারে আকস্মিক মানবন্ধনের আয়োজন করা হয়।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।