|| নিউজ ডেস্ক ||
উলিপুর উপজেলার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দিতে আলোর ফেরিওয়ালা পল্লীবিদ্যুৎ উলিপুর জোনাল অফিস শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিতকল্পে একদিনে চারশত সংযোগ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করেছে। কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি উলিপুর জোনাল অফিসের ডিপুটি জেনারেল ম্যানেজার এস এম নাসির উদ্দীন, এজিএম (পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ) কাজী মোঃ জসিম উদ্দীন ৩১শে আগষ্টের মধ্যে উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনতে এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সমাজ সেবক ও গনমাধ্যমকর্মী বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি আবু জাফর সোহেল রানা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রফিকুল ইসলাম সহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।
রবিবার (৩০ আগষ্ট) দুপুর ১২টার সময় উলিপুর উপজেলার ধামশ্রেণী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের কাশিয়াগাড়ী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রফিকুল ইসলামের বাড়িতে পল্লীবিদ্যুৎ উলিপুর জোনাল অফিসের আলোর ফেরিওয়ালা টিম মিটার ও সংযোগ প্রদান করে একদিনে চারশত গ্রাহক সংযোগ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। ধামশ্রেনীর এই এলাকায় ডিজিএম এর উপস্থিতিতে প্রায় ৩০ জন গ্রাহক মিটার ও সংযোগ এবং জামানত ফি বাবদ নির্দিষ্ট ফি ৫৬৫ টাকা করে জমা দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নেন।
জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দিতে কুড়িলাপবিস উলিপুর জোনাল অফিস উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে আলোর ফেরিওয়ালা কর্মসূচীর মাধ্যমে শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিতে কাজ করে চলেছে। পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, কয়েকটি টিমের মাধ্যমে আজ প্রায় চারশত গ্রাহকের ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হবে। ৩১শে আগষ্ট ২০২০ইং এর মধ্যে চরাঞ্চল বাদে জোনাল অফিসের আওতাধীন এলাকাকে শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার লক্ষে ডিজিএম এসএম নাসির উদ্দীন ও এজিএম (পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ) কাজী মোঃ জসিম উদ্দীন, সহকারি জুনিয়র প্রকৌশলী মোঃসাকিরুল ইসলাম, ওয়ারিং পরিদর্শক সদরুন নবী প্রমুখের তত্বাবধানে পুরোদমে কাজ চলছে।
ডিজিএম এসএম নাসির উদ্দিন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষেই আমরা ঘরে ঘরে কাজ করছি। উলিপুরে ৩১ শে আগষ্টের মধ্যে চরাঞ্চল বাদে শতভাগ ও ডিসেম্বর ২০২০ ইং এর মধ্যে সর্বত্র বিদ্যুত নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আলোর ফেরিওয়ালা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন দূর্নীতি ও হয়রানী মুুুুুক্ত গ্রাহকসেবা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।
উল্লেখ্য, কুড়িলাপবিস উলিপুর জোনাল অফিসের বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা ৭৫ হাজার। সেচ ও শিল্প বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে এলাকায় খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বিশাল ভূমিকা রাখছে।