|| আব্দুল মালেক ||
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সমাজসেবা বিভাগের সিনিয়র কারিগরি প্রশিক্ষক (টিআই) আকবর হোসেনের বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের আরডিআরএস বাজারে কুড়িগ্রাম-রংপুর সড়কে এ মর্মান্তিক সড়ক র্দূর্ঘটনা ঘটে। এতে আকবর আলী (৫৮), তার স্ত্রী বিলকিছ বেগম (৪৫), ছেলে বায়েজিদ হোসেন বেলাল (১৬), প্রাইভেট কারচালক সোহেল মিয়া (৩৫) ও হেলপার ওয়াসিম মিয়া (১৫) নিহত হন।
সড়ক দূর্ঘটনায় সমাজসেবা বিভাগের সিনিয়র কারিগরি প্রশিক্ষক (টিআই) আকবর আলীসহ তার স্ত্রী ও পূত্রের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উলিপুর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের পাঁচপীর মাষ্টার পাড়ার বাড়িতে স্থানীয় শত শত বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ ভীড় জমাতে থাকেন। বিকেল ৩টার দিকে আকবর আলীসহ তার স্ত্রী ও সন্তানের লাশ বাড়িতে পৌঁছিলে আত্মীয়-স্বজনদের কান্নায় এলাকার আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠে।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, নিহত আকবর আলী চাকুরীর সুবাদে নরসিংদীর জেলা সমাজসেবা অফিসের সিনিয়র কারিগরি প্রশিক্ষক (টিআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নতুন বাড়ি করার জন্য স্বপরিবারে প্রাইভেট কার যোগে রওনা দেন। পথিমধ্যে কুড়িগ্রাম-রংপুর মহাসড়কের কাঁঠালবাড়ি আরডিআরএস বাজারের কাছে পৌঁছিলে আকস্মিকভাবে বিআরটিসি’র একটি বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে আকবর হোসেন, তার স্ত্রী, পুত্র, প্রাইভেট কারচালক ও হেলপার নিহত হন। আকবর আলী অত্যন্ত ভদ্র প্রকৃতির ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে এলাকার গরীব মানুষকে আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা করতেন। পরিবারটির একমাত্র জীবিত কন্যা আায়শা সিদ্দিকা আশামনি (৯) গুরুতর আহত অবস্থায় এখন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম জানান, দূর্ঘটনাস্থলেই প্রাইভেট কারের চালক সোহেল মিয়া, হাসপাতালে নেয়ার পথে বাবা আকবর আলী ও পুত্র বেলাল হোসেন মারা যান। পরে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধান অবস্থায় আকবর হোসেনের স্ত্রী বিলকিছ বেগম ও প্রাইভেট কারের হেলপার ওয়াসিম মিয়া মারা যায়।