।। আব্দুল মালেক ।।
উলিপুরে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মনাই বর্মন সাদু (৬০)নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ৬ জন রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ডায়রিয়া, জ্বর-সর্দিসহ নানা রোগের প্রার্দুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজারামক্ষেত্রি গ্রামের রুহিদাস বর্মনের পূত্র মনাই বর্মন সাদু(৬০) ডায়রিয়ায় আক্রান্তু হন। তার অবস্থার অবনতি হলে স্বজনরা গত সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এছাড়াও নারিকেলবাড়ি সন্নাসীতলা গ্রামের গণেশ বর্মনের স্ত্রী গিরী বালা(৭০) ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে,ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে উপজেলার ধামশ্রেনী ইউনিয়নের দড়িচর গ্রামের আছিরুদ্দিনের পূত্র মনসুর আলী(৩৬), গুনাইগাছ ইউনিয়নের কৃষ্ণমঙ্গল গ্রামের আজগার আলীর স্ত্রী কহিনুর বেগম (৪৫), পৌরসভার আব্দুল হাকিম গ্রামের আঃ ওহাবের স্ত্রী ফুলমতি(৩০), নারিকেল বাড়ি গ্রামের হুমায়ুনের কন্যা হুমায়রা(৪), বজরা সাদুয়াদামার হাট গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের পূত্র আব্দুল বারী(৫৫) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
প্রায় তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা ও টানা দুই দিনের ভারী বর্ষণে উপজেলার বেশির ভাগ মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন। এসব এলাকার মানুষজন জ্বর-সর্দিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
করোনা সংকটকালীন সময়ে গ্রামীণ জনগোষ্ঠির চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসাস্থল বেশিরভাগ কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে পানি উঠায় চিকিৎসা সেবা ব্যহত হচ্ছে। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে বন্যা দুর্গত এলাকায় মেডিকেল টীম করার কথা থাকলেও তেমন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের এসব মানুষ বিভিন্ন হাট-বাজার থেকে ওষুধ কিনে বাড়িতে টোটকা চিকিৎসা করছেন।
নিহত মনাই‘র পুত্র রতন বর্মন বলেন, আমার বাবা তিন দিন ধরে পাতলা পায়খানায় ভূগছিলেন, সোমবার তার অবস্থার অবনতি হলে উলিপুর হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে তিনি মারা যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুভাষ চন্দ্র সরকার বলেন, মনাই বর্মন সাদুকে হাসপাতালে মৃত্যু অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। সাধারণত আবহাওয়া জনিত কারণে জ্বর-সর্দিসহ হয়। তবে বন্যা দূর্গত এলাকায় ১৫ টি মেডিকেল টীম সার্বক্ষনিক চিকৎসা দিচ্ছেন বলেও জানান এ কর্মকর্তা।