|| আব্দুল মালেক ||
উলিপুর উপজেলায় নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদ-নদী অববাহিকার চর ও দ্বীপচরের গ্রামগুলো প্লাবিত হচ্ছে। বন্যাকবলিত গ্রামের মানুষজন বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার ও স্যানিটেশনের সংকটে রয়েছেন। তাদের অনেকে গবাদিপশু নিয়ে পার্শ্ববর্তি উচু স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে বিভিন্ন স্কুল মাদ্রাসা, বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ, বৈদ্যুতিক খুঁটিসহ কয়েকটি সরকারি স্থাপনা ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে।
এদিকে তিস্তানদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে সোমবার নতুন করে চর বজরা গ্রামের ৪০টি ও চর বজরা পূর্বপাড়া গ্রামের ৩০টি পরবিারের বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙনের সাথে পানি বৃদ্ধির কারণে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষজন দূর্বিসহ অবস্থায় তাদের ঘর-বাড়ি পার্শ্ববর্তি উচু স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন। তিস্তার ভাঙনে চর বজরা গ্রামের নজরুল ইসলামের ২টি টিনের ঘর ও সুরুজ্জামানের ১টি টিনের ঘর তিস্তা নদীর পানির তোড়ে ভেসে গেছে। সেই সাথে প্রস্তাবিত তিস্তা সেতুর সাথে উলিপুর-চিলমারীগামী সংযোগ সড়কটিসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে। এছাড়া উপজেলার তিস্তা নদী অববাহিকার দলদলিয়া, থেতরাই, গুনাইগাছ ও বজরা ইউনিয়নে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে শতাধিক বাড়ি-ঘর ও আবাদি জমি নদী গর্ভে চলে গেছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম ভাঙন কবলিত বজরা ইউনিয়নের চর বজরা পূর্বপাড়া গ্রামের ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থার নেয়ার আশ্বাস দেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, রবিবার বিকেল ৬টায় তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদ সীমার ১৫ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপূত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ও চিলমারী পয়েন্টে ৬৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ও ধরলা নদীর পানি ব্রীজ পয়েন্টে ৯৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ভয়াবহ বন্যার আশংকা করছে নদ-নদী অববাহিকার মানুষজন।