|| আব্দুল মালেক ||
উলিপুরে করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেয়া অনুদানের টাকা পায়নি প্রায় শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী। বঞ্চিত শিক্ষকদের অভিযোগ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের গাফিলতির কারণে তারা প্রধানমন্ত্রীর অনুদান থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করা হয়েছে।
জানা গেছে, বেতন-ভাতা বঞ্চিত নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেক শিক্ষক প্রাইভেট কোচিং করে কোনোমতে দিনযাপন করতেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে টিউশনি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের আর্থিক অবস্থা আরও চরম অবস্থায় পৌঁছে। একারণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেটে বিশেষ অনুদান খাত থেকে উপজেলার ১২৬ জন শিক্ষক ও ৪০ জন কর্মচারীর জন্য ৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এককালীন অনুদান হিসেবে প্রত্যেক শিক্ষক ৫ হাজার টাকা ও কর্মচারীরা ২ হাজার ৫ শত টাকা পেয়েছেন। উপজেলার প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষক কর্মচারীর মধ্যে ১৬৬ জন শিক্ষক কর্মচারী এই অনুদান পেয়েছেন। বাকিরা অনুদানের টাকা না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন।
বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের মন্ডলের হাট মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ নুর নবী মিঞা অভিযোগ করে বলেন, ২ বার কাগজপত্র দেয়ার পরেও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও তার অফিসের কর্মচারীদের গাফিলতির কারণে তারা এই দুঃসময়ে সরকারি অনুদান থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। একই অভিযোগ করেছেন তবকপুর ইউনিয়নের বাবুরহাট নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বজলার রহমান সরকারের।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রব বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠিান প্রধান যথা সময়ে কাগজপত্র জমা দিতে পারে নাই। আবার কাগজপত্র জমা দিলেও সঠিক নিয়মে দেয় নাই। একারণে সমস্যা হয়েছে। এরপর বাকি সব ঠিকঠাক করে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল কাদের অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি জেলা শিক্ষা অফিসারকে জানানো হয়েছে।