|| আব্দুল মালেক ||
উলিপুরে প্রথম দফায় বন্যার পানি নেমে যেতে না যেতেই পুনরায় ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি হু-হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে নদ-নদী অববাহিকার চর ও দ্বীপচরের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। বন্যা কবলিত গ্রামের মানুষজন বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার ও স্যানিটেশনের সংকটে রয়েছেন। তাদের অনেকে গবাদিপশু নিয়ে পার্শ্ববর্তি উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে বিভিন্ন স্কুল, মাদরাসা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, বৈদ্যুতিক খুঁটিসহ কয়েকটি সরকারি স্থাপনা ভাঙ্গনের সম্ভাবনা রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, রবিবার বিকেলে তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদ সীমার ২ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপূত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ও চিলমারী পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ও ধরলা নদীর পানি ব্রীজ পয়েন্টে ৬৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, আগামী ১৬ জুলাই পর্যন্ত মাঝারী ও ভারী বর্ষণের সাথে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। এতে করে এ অঞ্চলে দীর্ঘস্থায়ী বন্যার আশংকা করা হচ্ছে।