|| জাহাঙ্গীর আলম শাকিল ||
উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ী বাজারের ছয়মাথার মোড়ের অটোস্ট্যান্ডে চায়ের দোকানদার মোঃ রাশেদুল ইসলাম (২৪) কে হত্যার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পাশবিক নির্যাতন করে ফেলে রেখে যায় দূবৃত্তরা।
সরেজমিনে জানা যায়, উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের নয়ারহাট গ্রামের মোঃ আবেদ আলীর পুত্র মোঃ রাশেদুল ইসলাম (২৪) বুড়াবুড়ি বাজারের ছয়মাথার মোড়ের অটোস্ট্যান্ডে সম্প্রতি একটি চায়ের দোকান শুরু করেছে। বন্যার কারনে রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় কিছুদিন থেকে সে তার দোকানেই রাতে ঘুমাতো। গতকাল শনিবার আনুমানিক রাত ৩টার দিকে দূবৃত্তরা তার উপর আক্রমন করে শরীরের বিভিন্ন যায়গায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করে এবং পাশবিক নির্যাতন করে বস্তায় ভর্তি করে ফেলে রেখে যায়। রবিবার সকালে রাশেদুল ইসলামের চায়ের দোকানের সহোযোগী মোঃ মতিউর (১৬) এসে প্রতিদিনের ন্যায় রাশেদুল কে ডাক দেয় কিন্তু তার কোন সাড়া না পেয়ে দরজায় ধাক্কা দিয়ে খুলে দোকানের ভিতরে প্রবেশ করে এবং সে রাশেদুল ইসলামকেকে বস্তায় ভর্তি অবস্থায় বিছানার উপর দেখতে পায়। মতিউর কয়েকজনের সহযোগিতা নিয়ে রাশেদুল ইসলামকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। পরবর্তীতে তার পরিবার চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
খবরটি দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ উপস্থিত হন এবং উলিপুর থানায় বিষয়টি জানালে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এএসআই আতাউর রহমান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম মন্জু বলেন, ছেলেটা খুব সহজ সরল। সে ছোটবেলা থেকে বুড়াবুড়ী বাজারের বিভিন্ন দোকানে কাজ করে, কখনো কারো সাথে ঝগড়া করতে দেখিনি। কে বা কারা এই জঘন্যতম পাশবিক নির্যাতন করেছে। দোষীদেরকে দ্রুত খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দেওয়া হোক।
এ ব্যাপারে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে দেখা হবে।