।। সুভাষ চন্দ্র ।।
উলিপুরে নদীর পানি কমতে শুরু করলেও মানুষের দুর্ভোগ একটুও কমেনি। দুর্গত এলাকায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট তীব্রভাবে দেখা দিয়েছে। চরের বাড়িঘরগুলো এখনো পানির নিচে তলিয়ে থাকায় এসব ঘর-বাড়ি ধীরে ধীরে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ভূক্তভোগীরা বলছেন, পানি নেমে যেতে বিলম্ব হলে বেশিরভাগ ঘর নষ্ট হয়ে যাবে।
এদিকে উলিপুর উপজেলায় বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও বন্যার পানিতে নিমজ্জিত এলাকা বেগমগঞ্জ, সাহেবের আলগা, হাতিয়া, বুড়াবুড়ি, থেতরাই, গুনাইগাছ ও বজরা ইউনিয়নে এখনো ত্রাণ পৌঁছেনি। এলাকাগুলোতে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি ও নদীভাঙ্গনের শিকার। এসব ইউনিয়নের ৬১টি ওয়ার্ডের জন্য মাত্র ২ হাজার ৪ শত প্যাকেজ তৈরী করা হচ্ছে। এসব প্যাকেটে থাকবে ২০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি লবন, ১ কেজি চিড়া ও ৫০০ গ্রাম চিনি। এতে প্রতি ওয়ার্ডে গড়ে ৩৯ জন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এই ত্রাণের প্যাকেট পাবেন। কিন্তু জুন ফাইনালের কার্যক্রমে ব্যস্ত থাকায় এই খাদ্যও বিতরণ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সিরাজউদ্দৌলা।
জেলা ত্রাণ পুনর্বাসন কর্মকর্তা দীলিপ কুমার সাহা জানান, বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের জন্য ত্রাণের চাল ৩০৩ দশমিক ০১৬ মেট্রিক টন ও নগদ ৩৬ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নগদ টাকার অংশটি দিয়ে স্থানীয় বাজার থেকে শুকনো খাবার সংগ্রহ করে তা চালসহ প্যাকেট তৈরি করা হচ্ছে।