|| আব্দুল মালেক ||
উলিপুরে ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি কমতে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বন্যা কবলিত উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের পানিবন্দি মানুষজনের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসলেও পানি বন্দি এসব মানুষের মাঝে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান, বন্যার পানিতে ১’শ ৪৫ হেক্টর জমির বীজতলা, ৩৫ হেক্টর জমির আউস(ভাদাই) ধান, ৩’শ ১০ হেক্টর জমির পাটক্ষেতসহ ৭৫ হেক্টর জমির শাক-সবজির ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
এছাড়া বন্যা কবলিত এলাকার গ্রামীণ কাঁচা-পাকা সড়ক প্লাবিত হওয়া তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সেই সাথে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। বন্যা কবলিত উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের গেন্দার আলগা, দৈই খাওয়ার চরে গত এক সপ্তাহে ৮০ টি পরিবারসহ এক মাসের ব্যবধানে প্রায় দেড় শতাধিক বাড়ি-ঘরসহ আবাদি জমি ব্রহ্মপূত্র নদের গর্ভে চলে গেছে। ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষজন ভিটেমাটি হারিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছেন। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি, বন্যা ও ভাঙনে স্বর্বস্ব হারিয়ে এসব পরিবারের লোকজন নিদারুণ কষ্টে রয়েছেন।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বিকেলে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৬১ সে.মিটার ও ব্রহ্মপূত্র নদীর পানি চিলমারী পয়েন্টে ৭৪ সেন্টিমিটার, নুন খাওয়া পয়েন্টে বিপদ সীমার ৬৩ সেন্টি মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সে.মিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সিরাজুদৌল্লা জানান, বন্যা কবলিত মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা হিসেবে ৪৮ মেঃ টন জিআর চাল ও ৫ লাখ টাকা এবং শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য ১ লাখ ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ এসেছে। যা বিতরণের প্রক্রিয়া চলছে।