।। আব্দুল মালেক ।।
ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় সরকারী টাকায় নির্মিত একটি গুচ্ছগ্রামসহ ৩টি গ্রামের কয়েকশ বসত-বাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে। হাতিয়া ইউনিয়নের গাবুরজান নামক এলাকায় বালু উত্তোলনের এ মহোৎসব চললেও প্রশাসন নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে। স্থানীয়রা বালু উত্তোলনে বাঁধা দিলে উল্টো বালু উত্তোলনকারী তাদেরকে হুমকি দিয়ে বলে উপজেলা চেয়ারম্যানের নির্দেশেই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। তবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তার নির্দেশে বালু উত্তোলনের কথা অস্বীকার করেছেন।
জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদের কোল ঘেষে জেগে উঠা চরে সরকার ৮০টি গৃহহীন পরিবারের জন্য মাত্র ২ বছর আগে কয়েক লাখ টাকা ব্যয়ে আশ্রয়নের জন্য গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের মাধ্যমে ঘর নির্মাণ করে দেন। কিন্তু গত ৩ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে গুচ্ছগ্রামের পাশেই বিপদজনক স্থানে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ওই এলাকার খয়বার আলীর পুত্র এন্তাজুল মিয়া নির্বিঘ্নে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে পুকুর ভরাট করছেন। ভূ-গর্ভস্থ থেকে বালু এভাবে উত্তোলনের ফলে গুচ্ছগ্রামসহ গাবুরজন, কালিরপাট, কদমতলা এলাকার কয়েকশ বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভূ-গর্ভস্থ থেকে বালু উত্তোলনকারী সিন্ডিকেটের বেপরোয়া তৎপরতা চললেও প্রশাসন নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে বলে ভূক্তভোগিরা অভিযোগ করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বর্তমানে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধিতে প্রবল খরস্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যেকোন মুহুর্তে সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে গুচ্ছগ্রামটি দেবে যেতে পারে।
অবৈধপন্থায় বালু উত্তোলনকারী এন্তাজুল মিয়ার সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় জানতে পেরে তেড়ে ওঠেন।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয়ে কিছুই জানিনা। কেউ যদি আমার নাম ভাঙিয়ে বালু উত্তোলন করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না, আপনার কাছেই শুনলাম। দ্রুত ড্রেজার মেশিন সরানোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।