।। নিউজ ডেস্ক ।।
চিলমারীতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের হাতে সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান গুরুতর জখম হয়েছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে ওই চেয়ারম্যান তার নিজ বাসভবনে অবস্থান করছে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ যতই তীব্র হচ্ছে ততই ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৬ জুন) রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে চিলমারীর রমনা মডেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজগর আলীর সাথে জোডগাছ বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক লাল মিয়ার বাকবিতণ্ডা শুরু হয় । এসময় লালমিয়ার সাথে থাকা যুবক ফারুক মিয়া (৩০) ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আজগর আলীর মাথা লক্ষ্য করে ইট দিয়ে আঘাত করলে চেয়ারম্যানের মাথায় গুরুতর জখম হয়। স্থানীয় লোকজন তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে একাধীক সেলাই দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। রমনা মডেল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আজগর আলীর সাথে কথা হলে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, একটি বিচারিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে লাল মিয়ার হুকুমে ফারুক নামের এক যুবক ইট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। এ ব্যাপারে রমনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক লাল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন।
এদিকে অভিযুক্ত ফারুক কে? কি তার পরিচয়। কি তার অবস্থান? কার ছত্রছায়ায় থেকে সে এত বড় উদ্ধত্যপূর্ণ কাজ করতে পারে এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক গুঞ্জন চলছে। অন্যদিকে একটি প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপে এ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার ব্যাপক তৎপরতা চলছে বলেও জনশ্রুতি পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত ফারুকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। চিলমারী মডেল থানার অফিসার-ইন-চার্জ আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এটা একান্তই তাদের নিজেদের মধ্যে চড়-থাপ্পড় মারামারির মতো ঘটনা। এ ব্যাপারে কেউ থানায় কোন অভিযোগ করেনি বলে জানান তিনি।
চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শওকত আলী বীর বিক্রম জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। সভাপতি-সম্পাদকের বুদ্ধির অভাবে এমন ঘটনা হয়েছে।