।। আব্দুল মালেক ।।
উলিপুরে বজ্রপাতের বিকট শব্দ ও আলোর ঝলকানিতে অবসরপ্রাপ্ত এক মাদরাসা শিক্ষকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ সময় বজ্রপাতের ঘটনায় মহিলাসহ আরো তিনজন মারাত্মক আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, সোমবার বিকেলে উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের তিস্তা নদী বিচ্ছিন্ন চর গোড়াইপিয়ার গ্রামে।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের উত্তর দলদলিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত খাতির মিস্ত্রির পূত্র অবসর প্রাপ্ত মাদরাসা শিক্ষক মাওঃ রুহুল আমিন (৭০), স্ত্রী সেমেনা বেগমকে সাথে নিয়ে পার্শ্ববর্তি থেতরাই ইউনিয়নের তিস্তা নদী বিচ্ছিন্ন চর গোড়াইপিয়ার গ্রামে তার জমির বাদাম তুলতে যান। ওইদিন বিকেলে হঠাৎ করে বৃষ্টিসহ বজ্রপাত শুরু হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। বজ্রপাতের বিকট শব্দ ও আলোর ঝলকানি শুরু হলে তার স্ত্রী পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়ার কারণে অল্পের জন্য বেঁচে যান। এসময় পাশের জমিতে বাদাম তোলার সময় বজ্রপাতের ঘটনায় থেতরাই ইউনিয়নের মোসলেম উদ্দিনের স্ত্রী আঞ্জু আরা বেগম (৪০), পূত্র আল আমিন (২২) ও ভাই মহসিন আলী (৫০) মারাত্মক আহত হন। এ ঘটনায় মোসলেম উদ্দিনের একটি ছাগল মারা যায়। স্থানীয় মানুষজন আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
থেতরাই ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মৃত মাওঃ রুহুল আমিনের বসতবাড়ি ২/৩ বছর আগে তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে বিলিন হলে পার্শ্ববর্তি দলদলিয়া ইউনিয়নের উত্তর দলদলিয়া গ্রামের গিয়ে বসবাস শুরু করেন। সোমবার তিস্তা নদীর জেগে উঠা চরে তার জমিতে চাষাবাদ করা বাদাম তুলতে গিয়ে বজ্রপাতের শিকার হয়ে তিনি মারা যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুভাষ চন্দ্র সরকার জানান, বজ্রপাতে আহত তিন জনের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।