|| ফেরদৌস আলম ||
ব্রিজ নেই, নিজেদের উদ্যোগে তৈরি বাঁশের সাঁকোই যাতায়াতের একমাত্র ভরসা তিন গ্রামের হাজারো মানুষের। যুগ আর ক্ষমতার পালা বদলালেও পাল্টেনি তাদের ভাগ্য। তাই ভাগ্যের নির্মমতাকে মেনে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পারাপার করতে হচ্ছে গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি, শিশু, শিক্ষার্থী ও হাজারো সাধারণ মানুষকে। এতে প্রতিদিন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে স্কুলগামী শিক্ষার্থী, শিশু ও প্রবীণরা।
উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের দক্ষিন-পশ্চিম পার্শ্বে খালের উপর নির্মিত ঐ বাঁশের সাঁকোই ইউনিয়নের সাতালস্কর-সাদুয়াদামার হাট-কালপানি বজরা-এ তিন গ্রামের হাজারো মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা।
সরেজমিনে দেখা যায়, এবছরেও বন্যার আগাম সময়েই নিজেদের যাতায়াত পথ ঠিক করতে গ্রামবাসীদের উদ্যোগে যুবকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে নির্মিত হচ্ছে বাঁশের সাঁকো।
স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০০৭ সালে সড়ক সংস্কারের সময় জায়গাটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য নির্ধারণ করা হলেও এক যুগেরও অধিক সময় অতিবাহিত হলেও আজ অবধি নির্মিত হয়নি ব্রিজ। গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে বার বার ব্রিজের জন্য আবদার করা হলেও কর্ণপাত করেনি কেউ।তবে ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে নাম ভাঙ্গানো ইট-সিমেন্ট-বালির পিলারে কাঠের সাঁকো নির্মিত হলেও প্রবল পানির স্রোতে একই বছরে বিলিন হয়ে যায় সাঁকোটি। তাই গ্রামবাসীর উদ্যোগে প্রতি বছর নির্মিত বাঁশের সাঁকোই যাতায়াতের একমাত্র ভরসা হাজারো মানুষের।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ব্রিজ না থাকায় দূর্বল বাঁশের সাঁকো দিয়ে স্কুল-কলেজ যাতায়াতে অনেক ভয় হয়। তাছাড়া প্রবল স্রোতে কিছুদিনের মধ্যে সাঁকোটি ভেঙ্গে যায়। তখন আমরা ঠিকমত স্কুল-কলেজ যেতে পারিনা।
ব্রিজ না থাকায় বর্ষা মৌষমে সন্তানদের স্কুল-কলেজ পাঠানো, হাট-বাজার, চিকিৎসায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় স্থানীয়দের।গ্রামবাসীরা বলেন, দু’পাশেই অসংখ্য শিক্ষার্থী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে। এসব কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নদী পার হতে হয় বাঁশের সাঁকো দিয়ে। অনেক সময় পা পিছলেও পড়ে যায়, এজন্য অনেক দুঃশ্চিন্তা হয়। হাটবাজার করতেও অনেক ঝামেলা হয়।এছাড়াও অসুস্থ হলে যোগাযোগের অভাবে ডাক্ততার আসতে চায় না আর হাসপাতালেও নেয়া সম্ভব হয় না। তাই বড় ভোগান্তিতে পড়তে হয়। যদি এখানে একটা ব্রিজ হত তাহলে এসব ভোগান্তি হত না। ভোগান্তি এড়াতে স্থানীয়রা তাই সংশ্লিষ্টদের কাছে এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করার দাবি জানিয়েছে।