।। আব্দুল মালেক ।।
উলিপুরে ব্রহ্মপূত্র নদের ভাঙ্গন রোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। রবিবার দুপুরে উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের ব্রহ্মপূত্র নদের পাড়ে ভাঙ্গন কবলিত পালেরভিটা ও নীলকন্ঠ গ্রামের শতশত মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেন। মানববন্ধন চলাকালীন বক্তব্য রাখেন হায়দার আলী, বদিয়ার রহমান, আব্দুল হাই প্রমূখ।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষজন জানান ব্রহ্মপূত্র নদের পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের পালের ভিটা, মাঝিপাড়া, নীলকণ্ঠ ও হাতিয়া গ্রামের প্রায় ১৭০০ মিটার এলাকা জুড়ে তীব্র ভাঙনে শতাধিক ঘর-বাড়িসহ আবাদি জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। এছাড়া গত ২ মাসের ব্যবধানে প্রায় ৩ শতাধিক বসতবাড়িসহ কয়েক হাজার একর ফসলি জমি ও গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনরোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়া হলে উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপূত্র নদের ভাঙ্গনরোধে চলমান প্রায় ৪২৬ কোটি টাকার কাজও হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়া অব্যাহত ভাঙ্গনে সহশ্রাধিক বাড়ি-ঘরসহ কয়েকশত একর আবাদী জমি হুমকির মুখে রয়েছে।
নদী ভাঙন কবলিত মানুষজন করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও তাদের ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে নিদারুণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। মানববন্ধন করে দ্রুত ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বিএম আবুল হোসেন বলেন নদী ভাঙনের ফলে এসব মানুষ সর্বশান্ত হয়ে গেছে। দ্রুত ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে সহশ্রাধিক বাড়িঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদী গর্ভে চলে যাবে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন আপদকালীন প্রকল্পের মাধ্যমে ১ কিলোমিটার জায়গায় ভাঙন রোধে ৭কোটি ৭৮ লাখ টাকার দরপত্র অনুমোদনের প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। দ্রুত ওই এলাকার ভাঙ্গনরোধে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হবে।