|| আব্দুল মালেক ||
উলিপুর উপজেলায় প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না থাকায় ঈদ বোনাস থেকে বঞ্চিত হলেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১৭ জন শিক্ষক। দেশে করোনা ক্রান্তিকালে ঈদ বোনাস বঞ্চিত শিক্ষকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষা অফিস যথারীতি উপজেলার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ১ হাজার ৫শত ১০ জন শিক্ষকের বেতন ও ঈদ বোনাস বিল প্রস্তুত করে যথারীতি উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে দাখিল করেন। পরে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড উলিপুর শাখার অনুকুলে বেতন-ভাতা গ্রহনকারী শিক্ষকরা যথারীতি বেতন ও ঈদ বোনাস উত্তোলন করেন। কিন্তু জনতা ব্যাংক লিমিটেড দূর্গাপুর শাখার মাধ্যমে বেতন-ভাতা উত্তোলনকারী ১১৭ জন শিক্ষক বেতন উত্তোলন করতে পারলেও ঈদ বোনাস উত্তোলন করতে পারেননি। উপজেলায় নতুন করে ৬০ জন শিক্ষক যোগদান করায় বাজেট ঘাটতি দেখা দেয়ায় এ জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষকদের অভিযোগ, উপজেলা শিক্ষা অফিসের উচ্চমান অফিস সহায়ক রুহুল আমিন, নতুন ৬০ জন শিক্ষকের এ খাতে বাজেট বরাদ্দ না থাকার পরও তাদের নামে বোনাস বিল করায় ১১৭ জন শিক্ষক বোনাস বঞ্চিত হয়েছেন। উৎসব ভাতা বাবদ সরকারিভাবে ৪ কোটি ৪১ লাখ ৯ হাজার ৪শত টাকা বরাদ্দ থাকলেও হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে এ খাতে ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৭ হাজার ৪শত ৮০ টাকা প্রদান করেন। এতে প্রায় ১১ লাখ ৮ হাজার ৮০ টাকা অতিরিক্ত প্রদান করা হয়। উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, সার্ভারে এ খাতে অতিরিক্ত কোন অর্থ বরাদ্দ না থাকায় ১১৭ জন শিক্ষক ঈদ বোনাস থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
ঈদ বোনাস থেকে বঞ্চিত বকশিগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চাকুরী করছি, কোন দিন এমনটি হয়নি। এবারই প্রথম এমন হলো। উপজেলা শিক্ষা অফিসের উচ্চমান অফিস সহায়ক রুহুল আমিন বলেন, উপজেলার কর্মরত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন ও ঈদ বোনাস বিল প্রস্তুত করে যথারীতি হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। নতুন ৬০ জন শিক্ষকের বোনাস বরাদ্দ কম আসায় জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, এ খাতে বরাদ্দ না থাকায় বাকি শিক্ষকদেরর ঈদ বোনাসের বিল ছাড় করা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোজাম্মেল হক শাহ্ বলেন, চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে, দু’একদিনের মধ্যে বাজেট আসলে শিক্ষকরা ঈদ বোনাস পাবেন।