।। আব্দুল মালেক ।।
চাষীদের নিবিড় পরিচর্যা ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে বাদামের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি বছর মৌসুমে বাদাম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন উলিপুর উপজেলা কৃষি বিভাগ। অন্যদিকে অধিক লাভের আশায় উৎপাদিত বাদাম ঘরে তোলার প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন চাষীরা। চাষীরা মূলত তাদের পরিত্যাক্ত উঁচু ও বালিযুক্ত জমিতে বাদাম চাষ করে থাকেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে তিস্তা নদী বেষ্টিত বজরা, গুনাইগাছ, থেতরাই, দলদলিয়া ও ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত হাতিয়া, বুড়াবুড়ি, বেগমগঞ্জ, সাহেবের আলগা ইউনিয়নে ৪ ’শ ১১ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষাবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮’শ ২২ মেট্রিক টন। এখানে আবাদকৃত বাদামের অধিকাংশই ঢাকা-১ জাতের। উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের কিশোরপুর গ্রামের কৃষক মাহবুবুর রহমান জানান তিনি দেড় একর জমিতে বাদাম চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। তিনি আশা করছেন বাদাম বিক্রি করে ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকার পারবেন। আর ২০ থেকে ২৫ দিন পর বাদাম ঘরে তুলতে পারবেন। বাদাম চাষের সাথে জড়িত কয়েক জন চাষী জানান এবার বাদাম গাছে তেমন কোন রোগ-বালাই নেই। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে প্রতি বিঘা জমিতে ৮ থেকে ৯ মণ বাদাম উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা ভালো দাম পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।
উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান নদ-নদীর চরাঞ্চল গুলো বাদাম চাষের জন্য অত্যান্ত উপযোগী। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাদামের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া কৃষকরা চলতি বছরে সূর্য্যমূখী ও তেল জাতীয় ফসল ভালো পেয়েছে। আগামী বছর এর ব্যাপকতা আরো লাভ করবে।