।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামে প্রথমবারের মত অনলাইনে ভার্চুয়াল মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৩ মে) সকালে কুড়িগ্রাম আদালতে গঠিত দুটি কোর্টে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৭টি মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৫টি মামলায় ১০জনের জামিন হয়েছে। অপরদুটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের মামলা গুরুতর অপরাধ বিধায় বিজ্ঞ বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। কুড়িগ্রাম কোর্ট-১ পরিচালনা করেন বিজ্ঞ বিচারক মো: শেফাত উল্লাহ এবং কোর্ট-২এ ছিলেন অপর বিজ্ঞ বিচারক মো: সুমন আলী।
অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন জানান মহামান্য হাইকোর্ট থেকে পরিপত্র জারি হওয়ার পর কুড়িগ্রামে ২টি কোর্টে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মামলা পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়। আমি গতকাল মঙ্গলবার (১২ মে) নির্ধারিত ইমেইলে ৬টি মামলার শুনানীর আবেদন করি। আমার পাশাপাশি কুড়িগ্রাম জজকোর্টের আরো একজন আইনজীবী একটি শুনানীর আবেদন করেন। আজ বুধবার (১৩ মে) নির্ধারিত সময় সকাল ১১টা থেকে ১১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত জুম অ্যাপসের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সে বিজ্ঞ বিচারক শুনানী পরিচালনা করেন। এতে আমার একটি জমিজমা সংকান্ত মামলায় ২৯জন নামীয় এবং অজ্ঞাতদের নামে একটি মামলা রুজু করা হয়। সেই মামলায় চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল অজ্ঞাত সন্দেহে ৩জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। করোনা পরিস্থিতির কারণে এতদিন তাদেরকে হাজতবাস করতে হয়েছে। এই ভার্চুয়াল শুনানির ফলে তাদেরসহ অন্য মামলায় আরো ৬জনকে জামিনে মুক্ত করা হয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে সরকারের একটি উত্তম উদ্যোগ।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন জানান ভার্চুয়াল শুনানির জন্য ৮টি আবেদন করা হয়েছিল। এরমধ্যে ৭টির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫টিতে ১০জনের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে এবং ২টি মামলা গুরুতর বিধায় বিজ্ঞ বিচারক জামিন না মঞ্জুর করেছেন। চলমান করোনা পরিস্থিতির উন্নতি কবে হবে আমরা কেউ জানিনা। নিরিহ ব্যক্তি যাতে হাজতবাস করতে না পারে এজন্য এই আদালতের প্রয়োজন রয়েছে। আমরা প্রযুক্তির সাথে তাল মেলাতে না পারলে পিছিয়ে পরবো।
সূত্রঃ masikbivas