।। নিউজ ডেস্ক ।।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় গবেষকদের সবচেয়ে আস্থার জায়গা পেয়েছে মার্কিন ওষুধ রেমডেসিভির। যদিও এই ওষুধ সেবন করলেই করোনা সেরে যাবে না। এটি ব্যবহার করে করোনা আক্রান্তদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই কিভাবে সারিয়ে তোলা যায়, সে ব্যাপারে আরো গবেষণার দরকার রয়েছে। আর এই ওষুধটি সারাবিশ্বে পাওয়া যাচ্ছে না এবং নির্দিষ্ট কিছিু হাসপাতালে গুটিকয়েক রোগী এটি পাচ্ছে।
সে কারণে সারাবিশ্বের গবেষকরা হন্যে হয়ে করোনার টিকা এবং ওষুধ আবিষ্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও গবেষকরা কেবল টিকা আবিষ্কারের পথেই হাঁটছেন না।
স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলছেন, কোনো ধরনের লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত পরীক্ষা করা দরকার। আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হলেই নির্দিষ্ট ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা দরকার।
গবেষকরা মনে করেন, আক্রান্ত রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব ইন্টারফেরন ইনজেকশন দেওয়া দরকার। এতে করে সুস্থ হয়ে ওঠার বিষয়টি ত্বরান্বিত হবে এবং মৃত্যুর ঝুঁকি হ্রাস পাবে।
জানা গেছে, ইন্টারফেরন আলফা-২ বি ইনজেকশনটি হেপাটাইটিস বি এবং সি, ত্বকের ক্যান্সার, রক্তের কোষের ক্যান্সার, এইডস-এর চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
গবেষকরা দেখেছেন করোনা শনাক্তের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারফেরন ওষুধ ‘ল্যামডা’ ব্যবহার করে চিকিৎসা শুরুর তিনদিনের মধ্যে রোগীর অবস্থা উন্নতির দিকে যায়।
ল্যামডা ব্যবহারের ফলে এন্টিভাইরাল রেসপন্স বুস্ট হয়ে যায়। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির ওষুধ বিভাগের প্রফেসর ডা. উপিন্দার সিং বলেন, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে এ ধরনের অন্যান্য ওষুধের তুলনায় ইন্টারফেরন ল্যামডা মানবদেহ ভালভাবে সহ্য করে।
তিনি আরো বলেন যদি আমি আক্রান্ত হই, তাহলে এই ওষুধ আমার প্রথম পছন্দ। মনে করুন কোনো বাড়িতে আগুন লেগেছে। যত দ্রুত সম্ভব এটি সম্পর্কে দমকলকে জানাতে হবে। আর যত দ্রুত সম্ভব আগুন নেভানো শুরু হলে ক্ষতিটা কম হবে।
তিনি আরো বলেন শুরুতে বলা হচ্ছিল বাড়িতে থাকুন। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে আগে পরীক্ষা করান। কিন্তু শনাক্ত হলে তো চিকিৎসা নেই। কিন্তু আমরা কি কিছুই করতে পারি না? এই সময়ে এসে কিছুটা সুযোগ তৈরি হয়েছে। শুরুর দিকেই শনাক্ত হলে আমরা কিছুটা চেষ্টা তো করতে পারি।
হংকংয়ের গবেষকরাও দেখেছেন, এইচআইভির ওষুধে করোনা রোগী অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠছে। এইচআইভির ওষুধ সেবনে সেরে ওঠার সময় কম লাগছে।
সূত্রঃ kalerkantho