|| নিউজ ডেস্ক ||
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সারাদেশে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য ৬৪ জন সচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতি জেলায় একজন করে সচিব এ দায়িত্ব পালন করবেন। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে। এতে কুড়িগ্রাম জেলার ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম সমন্বয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন উলিপুর উপজেলার কৃতি সন্তান জিয়াউল হাসান এনডিসি। তিনি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে কর্মরত আছেন।
ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম সমন্বয়ে কুড়িগ্রাম জেলার দায়িত্ব পাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জিয়াউল হাসান উলিপুর ডট কমকে বলেন, ত্রাণ কার্যক্রমে সমন্বয় ও শৃঙ্খলা আনতে এটি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যোগ। আমাদের লক্ষ্য থাকবে সবার সাথে সমন্বয় করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যারা প্রকৃত অভাবী তাদের মাঝে ত্রাণ সুবিধা নিয়ে যাওয়া। এ ক্ষেত্রে আমরা খেয়াল রাখব যাতে একই ব্যক্তি বা পরিবার যেন বারবার সুবিধা নিতে গিয়ে অন্যদের বঞ্চিত না করে। সরকারের যে সম্পদ তার সঠিক ব্যবহার যেন নিশ্চিত করতে পারি সেই চেষ্টা সর্বোচ্চভাবে থাকবে।
জিয়াউল হাসান এনডিসি গত ৯ জানুয়ারি, ২০২০ তারিখ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের নিমিত্তে যোগদান করেছেন। এ মন্ত্রণালয়ে যোগদানের পূর্বে তিনি বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান (স্পারসো)’র চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জিয়াউল হাসান এনডিসি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন ক্যাডারের ১৯৮৬ ব্যাচের একজন কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৮৯ সালের ডিসেম্বরে সহকারী কমিশনার হিসেবে গোপালগঞ্জ কালেক্টরেটে কর্মজীবন শুরু করেন। গোপালগঞ্জ কালেক্টরেট হতে শুরু করে অদ্যাবধি তিনি ভিন্ন ভিন্ন অধিক্ষেত্র ও পদমর্যাদায় দায়িত্ব পালন করেছেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- সহকারী কমিশনার (ফাইনান্স), সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বাংলাদেশ রেশম বোর্ডের সচিব। তাছাড়া তিনি যুগ্মসচিব পদমর্যাদায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) – এর জেনারেল ম্যানেজার ও অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) – এর সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
জিয়াউল হাসান ১৯৬৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার অন্তর্গত রামদাস ধনিরাম গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা জনাব আবদুল মজিদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ও মাতা জোহরা বেগম একজন গৃহিণী। তিনি ১৯৭৯-৮১ বর্ষে ঢাকা কলেজের ছাত্র ছিলেন। এরপর তিনি ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) হতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় হতে MA in Governance and Development (MAGD) কোর্স সম্পন্ন করেন। এছাড়া তিনি ২০১৬ সালে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, মিরপুর, ঢাকা হতে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স (এনডিসি) সম্পন্ন করেছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত। তাঁর স্ত্রী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর বড় মেয়ে রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এ প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন। তাছাড়া তাঁর এক মেয়ে ও এক ছেলে যথাক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল পর্যায়ের ছাত্র হিসেবে পড়াশুনা করছেন।
—- নিউজ ইনফো ——
বাংলাদেশ সময়ঃ এপ্রিল ২১, ২০২০, ১০ঃ৩০
এডিট/রূপম রাজ্জাক