|| নিউজ ডেস্ক ||
উলিপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় মৃত শহিদুর রহমানের দাফনে এলাকাবাসী অংশ নেয়নি। পরে থানা পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায় সোমবার সকালে মৃতের দাফন সম্পন্ন হয়। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনের লোকজন মৃত ব্যক্তি ও তার পরিবারের দুই সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করেছেন।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ম অনুযায়ী দাফন করেছে। স্থানীয়রা কেউ এগিয়ে আসেনি।
দুর্গাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবেদ আলী সরদার জানান, এক সপ্তাহ আগে ওই ব্যক্তি টাঙ্গাইল থেকে বাড়িতে ফিরে আসেন। সে সময় তার শরীরে জ্বর ছিল। পরে বাড়ি লকডাউন করে তার পরিবারের জন্য খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়। এর মধ্যে তার কাশি ও গলাব্যথাও দেখা দেয়। কিন্তু এক সপ্তাহ রোগে ভুগে তিনি রবিবার সন্ধ্যায় মারা যান।
উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার জানান, মৃত ব্যক্তি ও তার পরিবারের দুই সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার ফল পেলে জানা যাবে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা করোনা আক্রান্ত কিনা।
উল্লেখ্য, উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের গোড়াই মন্ডল পাড়া গ্রামে শহিদুর রহমান (৪৫) নামের এক ব্যক্তি করোনা উপসর্গ নিয়ে গতকাল (১৯ শে এপ্রিল) রাত আনুমানিক ৮টায় মৃত্যুবরন করেন।
নিহত শহিদুর রহমান এক সপ্তাহ আগে টাঙ্গাইল থেকে বাড়িতে ফিরে আসেন। টাঙ্গাইল থেকে আসার পর থেকেই তিনি করোনা উপসর্গ যেমন জ্বর, গলাব্যথা, সর্দি ও কাশিতে ভুগছিলেন।