|| নিউজ ডেস্ক ||
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নে ত্রাণের দাবিতে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করে রাস্তায় শুয়ে সড়ক অবরোধ করেছেন কয়েকশ’ নারী-পুরুষ।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের সরফদি গ্রামের মানুষজন উলিপুর-রাজারহাট সড়ক অবরোধ করে এ অবরোধে করেন।
পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ত্রাণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে তারা অবরোধ তুলে নেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, উলিপুর-রাজারহাট সড়কের সরফদি গ্রামের কয়েকশ’ নারী-পুরুষ জড়ো হয়ে ত্রাণের দাবিতে রাস্তায় শুয়ে পড়ছেন সড়ক অবরোধ করে।
ঘটনাস্থলে আসা ওই গ্রামের মোস্তাফিজার জানান, পরপর তিন দফায় সরকারি খাদ্য বিতরণ করা হলেও তাদের অনেকেই এই সহায়তা পাননি।
অবরোধকারী আবু মিয়া বলেন, আমরা নিদারুণ কষ্টে দিন পারি দিলেও জনপ্রতিনিধিরা কেউ খোঁজ নিচ্ছেন না। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, চেয়ারম্যানর-মেম্বাররা তাদের লোককে রিলিফ দেন। যারা তাদের ভোট দেন নাই, তাদেরকে দেন না।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুর রহিম রাজু এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে বলেন, ওই ওয়ার্ডের তিন গ্রামের প্রায় ১৮শ পরিবারের মধ্যে তিন দফায় প্রায় ১শত জনকে ত্রাণ দেয়া সম্ভব হয়েছে। ওই এলাকার মানুষজনের জাতীয় পরিচয়পত্র নেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবাই পাবেন।
ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান মুন্সী বলেন, আমার এলাকায় কেউ অনাহারি মানুষ নাই। সমস্যা থাকতে পারে। সরকারি ঘোষণা ছিল, বাড়ি বাড়ি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া হবে। এ কারণে, সবাই ত্রাণ চায়। অথচ যারা রাস্তায় নেমেছেন, তাদের কারো বয়স্কভাতার কার্ড আছে, প্রতিবন্ধী-ভিজিডিসহ বিভিন্ন সরকারি সহায়তার কার্ড আছে।
তিনি আরো বলেন, ওই ওয়ার্ডের সরফদি কানি পাড়ায় সম্প্রতি আবু নামের একজন ঢাকা থেকে এসে মানুষজনকে উস্কে দিয়েছেন। তার নিশ্চয় কোনো দুরভিসন্ধি আছে। ৩৯ হাজার মানুষ এই ইউনিয়নে বসবাস করেন। ৩ দফায় সরকারিভাবে বরাদ্দ মাত্র ১০ মেট্রিক টন চাল ও ১ মেট্রিক টন আলু, যা ১ হাজার মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল কাদের বলেন, সড়ক অবরোধ তুলে নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। আগামী বরাদ্দে প্রকৃত লোকজনের নাম তালিকায় থাকবে এই আশ্বাসের প্রেক্ষিতে তারা অবরোধ তুলে নেন।
সূত্রঃ সমকাল