|| তালাত মাহামুদ রুহান ||
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সর্তকতার জন্য উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নে কর্তব্যরত দু’জন পুলিশ সদস্য সরকারি বিধান অনুযায়ী সন্ধ্যা ৬টার আগেই নিত্য প্রয়োজনীয়সহ সকল পণ্যের দোকান বন্ধ এবং সেই সাথে জনসমাগম বন্ধের জন্য প্রতিদিনই কাজ করে যাচ্ছে। বুধবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে মূল সড়কে টহল দিতে থাকেন কর্তব্যরত দু’জন পুলিশ। পাঁচপীর বাজার সংলগ্ন কেসি রোডের পূর্বপাশে টুপামারী পুকুরের সামনের দোকানগুলো খোলা দেখতে পেয়ে চাপ প্রয়োগে বন্ধ করে দিয়ে আনন্দ বাজার যান তারা। ৩০ মিনিট পর আনন্দ বাজার থেকে ফিরে আবারো দোকান খোলা দেখতে পেয়ে দোকানে লাটিচার্জ শুরু করলে দোকানদার এবং সেখানে অবস্থানরত কয়েকজন এলাকাবাসী ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করে পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। পুলিশ ভয় পেয়ে ওই এলাকার ইউপি সদস্যকে ফোন করেন। পরে ইউপি সদস্য, গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয় ব্যক্তিরা তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শী ইউপি সদস্য সবুজ সরকার জানান, পুলিশের ফোন পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে চৌকিদারসহ উপস্থিত হয়ে তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করি। ঘটনায় আক্রমণ হওয়া পুলিশ সদস্য মামুন জানান, দোকানের ভিতর থেকে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করলে আমি এবং আমার সহকর্মী তাদের বিভিন্নভাবে পুলিশ প্রমাণ করার চেষ্টা করলেও তারা বুঝতে চায়নি। ঘটনাটি আমার মনে হয় তাদের পূর্ব পরিকল্পিত।
খবর পেয়ে উলিপুর থানার ওসি, এসআইসহ অতিরিক্ত পুলিশ সেখানে গেলেও কাউকে আটক করতে পারেনি।
এ বিষয়ে উলিপুর থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, মারপিটের খবর পেয়ে তারা সেখানে গিয়েছিলেন। তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।