|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পৃথক ঘটনায় উলিপুর ও চিলমারীতে ত্রাণের চাল উদ্ধার করা হয়েছে এবং ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া, এসব ঘটনায় থানায় মামলাও দায়ের হয়েছে।
জানা যায়, উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়ন থেকে চালসহ আটক মঈফুল ইসলাম নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে উলিপুর থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার রাতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার উপজেলা সমবায় পরিদর্শক শেখ ফরিদ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯ টায় উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের পশ্চিম মাথা থেতরাই বাজার থেকে ত্রাণের ৮৭ কেজি চালসহ ওই বাজারের দোকানদার মঈফুলকে আটক করা হয়।
উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল কাদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ত্রাণের চালসহ তাকে আটক করে নিয়মিত মামলার নির্দেশ দেয়া হয়। পরে দায়িত্বরত ট্যাগ অফিসার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, আটকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তাকে মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
অন্যদিকে, চিলমারীতে সামছুল ইসলাম নামে এক চাল ব্যবসায়ীর বাড়ি ও দোকান থেকে ১০টা কেজির ৬২ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ওই ব্যবসায়ীকেও আটক করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এডব্লিউএম রায়হান শাহ জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তিনি চিলমারী মডেল থানার ওসিসহ একদল পুলিশকে নিয়ে থানাহাট ইউনিয়নের পুটিমারী বুদ্ধের গ্রামে গিয়ে চাল ব্যবসায়ী সামছুল ইসলামের বাড়ির তিনটি ঘর থেকে মোট ৫৪ বস্তা চাল উদ্ধার করেন। এ সময় ওই ব্যবসায়ী তার থানাহাট বাজারের নিজ দোকানে অবস্থান করছিলেন। খবর পেয়ে ওসি (তদন্ত) ইফতেখারুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের আরেকটি দল থানাহাট বাজারে হানা দিয়ে আরও ৮ বস্তা চালসহ সামছুল ইসলামকে আটক করে।
তিনি জানান, এছাড়াও ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি ও দোকান থেকে খালি ২২৯টি বস্তা পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে আটক সামছল হক জানান, ‘বিভিন্ন খাদ্য কর্মসূচির উপকারভোগীরা তার বাড়িতে গিয়ে চালের বস্তাগুলো বিক্রি করে এসেছেন।
চিলমারী মডেল থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।