|| নিউজ ডেস্ক ||
উলিপুর উপজেলার অন্যতম বৃহৎ ইউনিয়ন ধরণীবাড়ী। এখানে ঢাকা-কুমিল্লা-নারায়ণগঞ্জ থেকে সাম্প্রতিক সময়ে ফেরত আসা লোকেরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন মহাদাপটে। শুনছেন না কারো বাঁধা। কাজ-কর্ম না থাকায় বাজার, রাস্তার মোড়ে কিংবা গ্রামের মুদি দোকানে চলছে আড্ডার মহা উৎসব। চলছে নানা বয়সী মানুষের গল্পগুজব। খেলছে ক্রিকেট, ফুটবল, আটকোটা, লুডু কিংবা তাস। লেখাপড়ার চাপ না থাকায় এতে যোগ দিচ্ছে এলাকার স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।
করোনার কারণে বিক্রি কমে গেছে অনেক দোকানের। সরকারি নিয়ম মেনে দোকান খোলা থাকলেও নেই ক্রেতার ভিড়। ব্যবসা বন্ধ হয়েছে অনেক ব্যবসায়ীর। এতে করে তারা পড়ছেন লোকসানে। অপরপক্ষে নিয়ম মানছে না অসাধু দোকানদারেরা। দোকানের ঝাঁপ নামিয়ে চলছে চা, পান ও সিগারেট বিক্রি। ধরণীবাড়ীর মাঝবিল বাজার, বামনের হাট, মুন্সীবাড়ী পার্শ্ববর্তী মিনাবাজার, চৌহমনি বাজার ও বিভিন্ন এলাকায় একই চিত্র বিরাজমান। বাজারে ও গ্রামের দোকানে চলছে চোর-পুলিশ খেলা। পুলিশ আসলেই নিরাপদ স্থানে লুকিয়ে পড়ে জনসাধারণ এবং পুলিশ চলে গেলে আবার আগের মতই স্বাভাবিক।
অন্যদিকে, এ ইউনিয়নের বেশিরভাগ মানুষ দিনমজুর। রিক্সা, ভ্যান, অটোচালক, কৃষক, রাজমিস্ত্রি, কাঠমিস্ত্রি, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ছাড়াও চর্মকার, নাপিতসহ এলাকার নিম্নআয়ের মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। মরণঘাতী করোনা ভাইরাস আতংকে জনজীবন ব্যাহত হওয়ায় বেশি সমস্যায় পড়েছেন অসহায়, দু:স্থ ও কর্মহীন লোকজন। চরম এই দুর্দিনে আয় নেই কারো। জমানো টাকা বা ধার করে সংসার চালাতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন অনেকেই।
ধরণীবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ৮ হাজার পরিবার বাস করলেও সরকারিভাবে ত্রাণ পেয়েছে ৫০০টি পরিবার। নতুন করে তালিকা করেছেন কর্মহীনদের। যাদেরকে সরকারিভাবে দ্রুত ত্রাণ পৌঁছানো হবে। তিনি ইউনিয়নবাসীকে সরকারের পদক্ষেপ মেনে চলার এবং বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে দুস্থ, কর্মহীন মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
সূত্রঃ মাসিক বিভাস