|| নিউজ ডেস্ক ||
কুড়িগ্রামে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের নেয়া পদক্ষেপের ফলে ফাঁকা হয়ে গেছে রাস্তাঘাট। বন্ধ হয়ে গেছে দোকানপাঠ, হোটেল-রেস্তোরাঁ ও অফিস আদালত। ওষুধের দোকান আর কাঁচাবাজার সীমিতভাবে খোলা রয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না।
শুক্রবার সকালে শহরের খলিলগঞ্জ, কলেজরোড, বাস টার্মিনাল, ঘোষপাড়াসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, ফাঁকা রাস্তাঘাটে লোকজনের ভীড় নেই। রিকশা, অটোরিকশা ও ভ্যানের সংখ্যাও নগন্য। তাও যাত্রীর অভাবে অলস বসে আছে এসব যানবাহন।
আয় কমে যাওয়ায় এবং ঘরবন্দি হয়ে যাওয়ায় নিম্নআয়ের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। দিনমজুর, শ্রমিকদের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। তারা এখন ভিজিএফ কর্মসূচির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। তবে এখনও ভিজিএফ কর্মসূচি চালু হয়নি।
চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্রাকটিস বন্ধ হবার পাশাপাশি বেসরকারি ক্লিনিকগুলোর অধিকাংশ বন্ধ হয়ে গেছে। দু-একটি ক্লিনিকে জরুরি বিভাগ চালু রয়েছে।
২৫০ শয্যার কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে অন্তর্বিভাগ ও বহির্বিভাগে রোগীর সংখ্যা একেবারে কমে গেছে। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রেদোয়ান ফেরদৌস সজিব জানান, চিকিৎসক ও নার্সদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে সুচিকিৎসা দেয়ার জন্য। তবে গুরুতর অসুস্থ ছাড়া কাউকে অন্তর্বিভাগে ভর্তি করা হচ্ছেনা।
এদিকে সিভিল সার্জন অফিসের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন ৫ জনসহ ১৩৮ জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট ৩১৫ হোম কোয়ারেন্টিনে থাকলেও ১৭৭ জনকে ছাড় দেয়া হয়েছে।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ