।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে নবম শ্রেণির কিশোরীর (১৪) বিয়ে হতে চলেছিল। কনে পক্ষের নিমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়ন পালা যথারীতি শেষও হয়েছিল। অপেক্ষা ছিল বর আসবার। ঠিক তখনই ঘটে বিপত্তি। খবর পেয়ে বিয়েবাড়িতে উপস্থিত হন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরের ঘটনাটি চমকে দেওয়া মতো।
ঘটনাটি ঘটে গত সোমবার (২৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সাদুল্ল্যা আকইরপাড়া গ্রামের।
জানা গেছে ওই কিশোরীর সঙ্গে একই ইউনিয়নের তাউরাসের বাজার এলাকার রোস্তম আলীর ছেলে আল আমিনের বিয়ে ঠিক হয়। গত সোমবার রাতে এজন্য বিয়ের আয়োজন চলছিল। কনে পক্ষ নিমন্ত্রিত লোকজনের খাওয়া-দাওয়া শেষে বরপক্ষের অপেক্ষা ছিল। এমন সময় বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন করিব পুলিশ নিয়ে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হলে কনেসহ অন্যরা গা-ঢাকা দেন। কিন্তু বিয়ের পিঁড়িতে মেয়ের বড় ভাই জয়নালের স্ত্রী অনার্স পড়ুয়া ফারজানা আক্তার (ভাবী) বধূ সেজে বসে থাকেন।
পরে তাকে আটক করলে তিনি বাড়ির লোকজনের চাপে ম্যাজিস্ট্রেটের হাত থেকে ননদকে বাঁচাতে বধূ সাজেন বলে জানান। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে বরপক্ষ বিয়ে বাড়িতে না এসে সটকে পড়ে। পরে ওই ইউপির চেয়ারম্যান ওয়াদুদ হোসেন মুকুলের উপস্থিতিতে কনের বাবাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে বিয়ে না দেওয়ার শর্তে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সূত্রঃ ittefaq