।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামে বিদেশ ফেরত ৫৪০ জনের মধ্যে মাত্র ৩৫ জন ব্যক্তি হোম কয়ারাইন্টানে রয়েছেন। বাকীরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন হাটবাজারে। তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নিতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৩ মার্চ থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত সৌদি আরব, ইতালী, চীন, সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা এসব বাংলাদেশি নাগরিক কুড়িগ্রামের ১১টি থানায় নিজ এলাকায় অবস্থান করছেন। এরমধ্যে কুড়িগ্রাম সদর থানায়-১০৭ জন,নাগেশ্বরী-৫৬ জন,কচাকাটা-২১ জন,ভূরুঙ্গামারী-৫৫ জন,ফুলবাড়ি-৬৬ জন,রাজারহাট-৩৩ জন,উলিপুর ৭৮ জন,চিলমারী-৩৫ জন,রৌমারী-৮২ জন,রাজিবপুর-৬ জন, ঢুষমারা-১ জন।
সিভিল সার্জন ডা: হাবিবুর রহমান বলেন,কুড়িগ্রামে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলেনি। তবে বিদেশ আসা যেসব নাগরিক কুড়িগ্রামে অবস্থান করছেন এদের মধ্যে ৪২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৪ দিন পার হওয়ায় মধ্যে ৭জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাকিদের বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নেবার চেষ্টা করছি।
এই বিষয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বলেন, ইমিগ্রেশন সূত্রে বিদেশ ফেরতদের একটি তালিকা পাওয়া গেছে। তিনি আরো জানান, পুলিশ বাড়ি-বাড়ি গিয়ে সচেতন করাসহ বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার বাধ্য করা হচ্ছে। হোম কোয়ারেন্টাইন না মানার অভিযোগ পেলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে বিভিন্ন থানা সূত্রে জানা যায়,তালিকা ধরে এসব বিদেশ ফেরতদের খুঁজে বের করা কঠিন। অনেকের ঠিকানা মিলছেনা। এরপরেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সচেতন মহলের সহযোগিতা নিয়ে খুঁজে বের করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন, বিদেশ ফেরত নাগরিকরা হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে জনসম্মুখে হাট-বাজারে বিচরণ করায় সাধারণ মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সূত্রঃ jamuna.tv