।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
বছর ঘুরে আবারও এসেছে রমজান। তবে রমজানের ইফতার ও সাহ্রিতে কোন খাবার খাবেন এবং কীভাবে খাবেন এ নিয়ে অনেকেরই রয়েছে নানান ভুল ধারণা। কেউ ভরপেট খাবার খেতে পছন্দ করেন তো কেউ আবার পানি পানের মধ্য দিয়ে সাহ্রি বা ইফতারে পেট ভরিয়ে ফেলেন। তবে জানেন কী? সাহ্রি বা ইফতারে একাধারে বেশি মাত্রায় খাবার খাওয়া যেমন অনুচিত, ঠিক একইভাবে শুধু পানি খেয়েও অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে নিজেকে জড়ানো বোকামির। তাই নিজের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রেখে সঠিক পরিসরে সাহ্রি বা ইফতারে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান নিশ্চিত করে খাবার গ্রহণ করতে হবে।
সারা দিনের ক্লান্তি ও খিদার জালা দূর করতে যারা ইফতারে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি এবং অনেক দ্রুত খাবার খেয়ে থাকেন। সে বিষয়ে ঢাকা আজিমপুর ‘গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্স, খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ফারাহ মাসুদা বেশি তাড়াহুড়া করে না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, “একটু সময় নিয়ে ধীরে ধীরে খাবার খাওয়া উচিত। শুরুতে দু-তিনটি খেজুর খেয়ে পানি পান করে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। আনুমানিক ১০ থেকে ১৫ মিনিট বিরতি দিয়ে তুলনামূলক ভারী খাবার খাওয়া উচিত।
তবে অল্প খাবার যেমন সামান্য পরিমাণে সবজি খিচুড়ি বা নুডলস খাওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি মিশ্র ফলের সালাদ আর খানিকটা ঝাল খাবার গ্রহণ করা উপকারী। সালাদ হিসেবে দই বা মধুও খাওয়া যেতে পারে। রমজানে সারা দিন না খেয়ে থাকায় পাকস্থলীতে অম্লীয় রস জমা হয়ে থাকে। তাই নিয়মিতভাবে অল্প খাওয়া দিয়ে শুরু করলে সেই অম্লীয় রস একটু একটু করে কাজ করতে শুরু করে। কিন্তু বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে এর ব্যতিক্রম অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হতে পারে।
ইফতার থেকে সাহ্রি পর্যন্ত সময়ে বেশি পরিমাণে না খেয়ে ধাপে ধাপে পানি বা খাবার খাওয়া ভালো, ইফতার ও সাহ্রিতে বা রাতের খাবারে ওটস দিয়ে খিচুড়ি, সবজি ডিম দিয়ে তৈরি ফ্রায়েড রাইস, সয়া নাগেটের তৈরি পদ, এমনকি নুডলসও খাওয়া যেতে পারে। একই সাথে দুধ-চা, অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাওয়ার পরিবর্তে মাছের ঝুরি ও সবজির পুরের সমন্বয়ে সমুচা বা পাকোড়ার মতো খাবার বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। ছোলা, মুরগি বা মাছের কোফতা ক্যালরি সম্পন্ন খাবার খাওয়া উচিত। বিশেষ করে এক গ্লাস দুধ বা দুধের তৈরি পানীয় খাবার ও কলা বা খেজুরের মতো ফল সাহ্রিতে খাওয়া ভালো। এক্ষেত্রে দুধ খেতে কারও সমস্যা থেকে থাকলে রাতে খাওয়া যেতে পারে। হজমের সমস্যা না হওয়ার জন্য রাতের খাবার ১০টার মধ্যেই খাওয়া সুবিধাজনক।